ছাতু বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পুষ্টিগুণ সম্পন্ন অতি প্রাচীন খাবার।ছাতু তৈরীর প্রক্রিয়া একটু ঝামেলার হওয়ার কারণে বাসা বাড়িতে তৈরী করা অনেক সময় সম্ভব হয় না।তাই যারা বিভিন্ন ব্যস্তার কারনে বাসাতে ছাতু তৈরি করতে পারছেন না তারা নির্দ্বিধায় বাসা বাড়িতে তৈরী শতভাগ অর্গানিক ছাতু একবার নিয়ে দেখতে পারেন।
ছাতু প্রাচীন বাংলার একটি পরিচিত খাবার, যে উপাদান গুলো দিয়ে আমরা ছাতুতে তৈরি করি ভাজা চাউল, ভাজা গম ,ভাজা ভুট্টা, ভাজা জব,ভাজা ছোলা বুট,ও ভাজা দেশি বাদাম।
মোটামুটি আমরা সকলেই জানি এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে:
শক্তি বৃদ্ধি: ছাতুতে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার রয়েছে, যা শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। তাই এটি শরীরের ক্লান্তি দূর করতে কার্যকর।
হজমে সহায়ক: ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় ছাতু হজমের সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে এবং পেট পরিষ্কার রাখে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ: ছাতু ধীরে হজম হয়, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে, এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: কম ক্যালোরি এবং বেশি ফাইবার থাকার কারণে ছাতু দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে, যা ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ছাতুতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল কমায়।
পেশী গঠনে সহায়ক: ছাতুতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি পেশী গঠনে সহায়ক এবং শরীরের পুনর্গঠনের কাজে লাগে।
ত্বকের যত্ন: ছাতুতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন থাকার কারণে এটি ত্বকের জন্যও উপকারী।